রহস্যময় ভয়ংকর ভূতের গল্প
গল্পের নাম- Blue ston
writer-আলিফ আহমেদ
পর্ব ১ ।
-গত কিছুদিন ধরে আমি একটা ভয়ংকর স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্নে দেখছি যে আমাকে "একটা মেয়ের আত্মা একটা ভয়ংকর বাড়িতে আটঁকে রেখেছে। আমি পালাবার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছিনা কিন্তু বাড়ির ছাদে একটা আয়না আছে সেটা একটা পাথর দিয়ে ভাঙতেই আত্মাটা মারা যায় এবং আমি মুক্ত হয়।" পরিচয় বলতে গেলে আমার নাম রাফসান। আমি আর্য্র বংশের ছেলে। ১৫ দিন হলো আমি এখানে পড়ালেখা করার জন্য একটা বাসা ভাড়া নিয়েছি এই বাসায় আসার পর থেকে আমি এরকম ভয়ংকর স্বপ্ন দেখছি কিন্তু আমি এসবে বিশ্বাস করিনা তাই এসব ইগনোর করি। এতোবার স্বপ্ন দেখার পর মনে মনে ভাবলাম ৩ দিন স্বপ্ন দেখলে নাকি সেটা সত্যি হয় কিন্তু আমি তো অনেকবার একি স্বপ্ন দেখলাম কই কিছুই তো হলোনা এসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেস হয়ে ভার্সির্টি চলে গেলাম । ক্লাস করছি এসময় হঠাত্ একটা মেয়ের শব্দ "আসতে পারি স্যার" ...
..
part_2
দরজার দিকে তাকাতেই দেখি একটা সুন্দরী মেয়ে ক্লাসে আসার জন্য স্যারের পারমিশন চাচ্ছে। পুরা ক্লাসের ছাত্ররা তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। স্যার তাকে ঘরে আসার পারমিশন দিলো ।তারপর তাকে আমাদের সাথে পরিচয় করালো, মেয়েটির নাম- কবিতা । নাম শুনে আমি একটু জোরে করে বললাম 'কবি কবি ভাব কবিতার অভাব' বলতেই পুরা ক্লাসের সবাই হাসতে লাগলো ।। তারপর ক্লাস শেষে বাইরে বন্ধুদের সাথে ঘুরছি এমন সময় মেয়েটির দিকে চোক পড়লো দেখি সে আমার দিকে অদ্ভুদ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে; আমি ভাবলাম ক্লাসে আমার ওকে ওই কথাটা বলা উচিত হয়নি হয়তো সে রাগ করেছে। আমি তার কাছে গেলাম বললাম ক্লাসে ওসব কথা বলবার জন্য আমি দুঃখিত। ও বললো 'সমস্যা নেই। আমি কোনো মাইন্ড করিনি (কবিতা) ।
আমি তারসাথে কথা বলছি আর বন্ধুরা ভাবছে প্রেম করছি তাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । তাই আমি তাকে ভার্সিটির একটা কফিশপে নিয়ে যায়। কফি খাচ্ছি এবং গল্প করছি। এসময়
কবিতা- opps এতোক্ষন ধরে আমরা গল্প করলাম কিন্তু তোমারতো নামটাই জানা হলোনা ! নাম কি তোমার ?
_রাফসান (আমি)
ক্লাসের ফাস্ট বয় রাফসান?(কবিতা) ।
জ্বী কবিতা ম্যাডাম । কিন্তু তুমি কিভাবে জানলে (আমি) ।
আরে রাফসান আমি সব কিছু জানি । তুমি যে নাম করা আর্য্র বংশের ছেলে এটাও জানি (কবিতা) ?
ওয়াও। তুমি এতো কিছু কিভাবে জানলে আমার ব্যাপারে ?(আমি)।
এই ভার্সিটির হেডমাস্টার আমার কাক্কু হয় উনিই আমাকে এসব বলেছে।(কবিতা)
ও আচ্ছা। (আমি)
আচ্ছা রাফসান [হাত বাড়িয়ে] আমরা কি বন্ধু হতে পারি (কবিতা) ?
হ্যা অবশ্যয় (আমি) বলতে বলতে তার হাতে হাত দিলাম মনে হচ্ছে যেনো কারেন্টের তার ধরে আছি।
আচ্ছা আজ তাহলে যায় কাল আবার দেখা হবে (কবিতা) ।। আচ্ছা ঠিক আছে (আমি) ।। বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে একটু একটু ঘুমালাম। স্বপ্নে দেখি কবিতা একটা ভয়ংকর আত্মার রুপ নিয়ে আমাকে মারার চেষ্টা করছে । আমি ভয় পেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় এবং নিজেকে এ আজব মার্কা স্বপ্ন দেখার জন্য কয়েকটা থাপ্পড় মারি।
...
......
part-3
#blue_ston
-ঘুম থেকে উঠে ফোনের দিকে তাকাতেই দেখি এক অচেনা নাম্বার থেকে ১০ টা মিসড কল !
আমি ফোনটা হাতে নিতেই আবার সেই নাম্বার থেকে ফোন আসলো রিসিভ করলাম !
-হ্যালো রাফসান কি করছো?
-আপনি কে বলছেন?(আমি)
-আমি কবিতা
-ওহ কবিতা তুমি আমার নাম্বার পাইলা কই থেকে?(আমি)
-তোমার বন্ধু আয়ান দিয়েছে (কবিতা)
-ও আচ্ছা ঠিক আছে(আমি)
-রাফসান পার্কে যাবা ঘুরে বেরাবো (কবিতা)
-চলো আমারো ঘুরে বেড়ানো হয়না অনেক দিন ধরে
-আচ্ছা তুমি চলে আসো আমি পার্কে অপেক্ষা করবো(কবিতা)
-যতো তাড়াতাড়ি পারি শার্ট পরে পার্কে যেয়েই দেখি কবিতা বাইরে বসে আছে
ওকে দেখে বললাম বাহ তুমি পার্কে বসে বলছো পার্কে ঘুরতে যাবো ।
তারপর পার্কে ঘুরছি দুজনেই চুপচাপ
হঠাত্ কবিতা বলে উঠল
-রাফসান!একটা কথা বলব ভাবছি(কবিতা)
-ভাবতে হবেনা বইলা দেও(আমি)
-I Love you আমি যখন থেকে তোমাকে দেখেছি তোমার মায়ায় পড়ে গেছি ।(কবিতা)
-আসলে আমিও তোমাকে ভালো.....বাসি বাট বলতে পারিনি(আমি)
-ওফ থ্যাংকিউ রাফসান আমি সারাজিবন তোমার সাথে থাকতে চাই (কবিতা) ||
-বাসায় ফিরতে দেরী হলে তোমার বাবা-মা বকবে নাকি(আমি) ?
-নাহ(কবিতা)
ঘুরতে ঘুরতে ঘড়িতে দেখি রাত ০৯ টা বাজে।। কবিতাকে বাড়ি পৌছে দেবার জন্য গাড়ি খুজছি হঠাত্ কয়েকজন ডাকাত আমাদের ঘিরে ফেললো।।
ডাকাত গুলা কবিতার ব্যাগ চেক করছে তার ব্যাগে কিছু বই ছিলো সব এইদিক ওদিক চালিয়ে ফেলে দেয় ।। তারপর পুলিশ দেখে ডাকাতেরা পালিয়া যায় ।।
কবিতা কাঁদতে কাঁদতে তার বইগুলা গুছাচ্ছে আমি সাহায্য করে একটা গাড়িতে তুলে দিলাম।। আমি পাশ ফিরতে যাবো তখনই দেখি একটা বই পড়ে আছে।। আমি চশমা পড়ে থাকা সত্তেও
বইয়ের অক্ষরগুলা সব আবছা দেখাচ্ছে ।।। দেখতে দেখতেই আম্মুর ফোন আসলো
"রাফসান তোর বাবার আবার হার্টের অসুখ শুরু হয়ে গেছে ।টেনশনে তোকে ফোন দিতে ভুলে গেছি ডাক্তার বললো তোর বাবাকে খুব তাড়াতাড়ি বিদেশে নিয়ে যেতে হবে । তুই তাড়াতাড়ি হাসপাতাল চলে আয় "(আম্মু)
.....
part-4
__হাসপাতাল যেয়ে দেখি আব্বুর অবস্থা খুব খারাপ
। উনাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আম্মু রেডি হচ্ছে ।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি প্লেনের টিকেট কেটে নিয়ে আসলাম।
রাতে আর ঘুম হলোনা ফোনে বন্ধ করে প্লেনে উঠে পড়লাম। কয়েকঘন্টা পর প্লেন আমাদের গন্তব্যে নামলো ।
বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে আমরা একটা হোটেল ভাড়া নিলাম ।
সেখানে ফোন চালু করে দেখি কবিতার ৩৫ টা মিসড কল !! আমি অবাক হয়ে তাকে কল দিলাম ধরতেই সে ঐ বইটার কথা বলতে লাগলো আমি বললাম আমার কাছে নেই ।
আমি সেখানে যেয়ে আমার ব্যাগের ভেতর হাত ঢোকাতেই দেখি কবিতার সেই বইটা ভুল করে চলে এসেছে। বইটা টেবিলে রেখে ফ্রেস হতে গেলাম এসে বইটার দিকে তাকাতে দেখি সব অক্ষরগুলা দেখা যাচ্ছে কিন্তু চশমা পড়লে দেখা যায়না। কি একটা অবস্থা !! বইটাতে দেখি একটা ভয়ঙ্কর বাড়ি আঁকা আছে এবং অনেক ভয়ঙ্কর কিছু দেয়ালের নকশা। কিছুই বুঝতে পারছিনা এসবের মানে। হঠাত্ আমার বন্ধু ইমতিয়াজ এর ফোন আসলো আমি বইটা রেখে ফোন ধরলাম _
দোস্ত আমাদের এলাকায় চারটা ডাকাতের লাশ পাওয়া গেছে জানিস? (ইমতিয়াজ)
-কই না তো ! আমি বাবার চিকিত্সার জন্য কানাডা এসেছি (আমি)
-ফেসবুকে নিউজ দেখ (ইমতিয়াজ)
আমি ফেসবুকে নিউজ খুজতেই দেখি কাল রাতে আমাদের যে চারটা ডাকাত ঘিরে রেখেছিলো
ঐ চারটা ডাকাতের লাশ পড়ে আছে। খুব বাজে ভাবে টর্চার করা হয়েছে তাদেরকে হাতের কয়েকটা আঙ্গুল কেটে দিয়েছে আর পুরো শরীর রক্তাক্ত।। পুলিশ আমাকে খুজছে । আমি বুঝতে পারছি যে আমার সাথে কিছু হতে চলেছে কেউ হয়তো আমাকে ফাসাচ্ছে । আব্বু তখন সম্পূর্ন সুস্থ আমি আম্মুকে বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে চলে আসলাম। এসেই থানায় গেলাম সেদিনের ইনফরমেশান দেবার জন্য। হঠাত্ দেখি ডাক্তার আসলো উনি বলছে
" এটা কোনো মানুষের কাজ হতেই পারেনা আমি অনেক চেষ্টা করলাম যতটা বুঝতে পেরেছি এটা কোনো পরী অথবা আত্মার কাজ"(ডাক্তার)
......
পর্ব-০৫
#Blue_ston
>>ডাক্তারের কথা শুনে পুলিশ সবাই ঘাবড়ে গেলো ।। কয়েকজন পুলিশ ডাক্তারের কথা শুনে হাসাহাসি করছিলো। তারপর ডাক্তার প্রমানের কিছু ছবি দেখালেন। আমিও দেখলাম যতটা বুঝতে পারছি এটা মানুষের কাজ মনে হয়না। তখন আরও কিছু তথ্যের জন্য আমরা যেখানে লাশ পাওয়া যায় সেখানে যায়। সবাই ও জায়গাটা দেখাদেখি করছে আমিও পুলিশের সাথেই আছি । হাটতে হাটতে আমার পায়ের নিচে একটা আংটি পড়ে পায়। আংটিটা ভালোভাবে দেখে আমি প্রচুরভাবে অবাক হয়েগেলাম কারন এটাতো কবিতার আংটি যেটা আমি গিফট হিসেবে তাকে দিয়েছিলাম। তাহলে ওর আংটি এখানে কিভাবে আসলো ? আমি আংটিটা পকেটে লুকিয়ে রাখলাম । পুলিশ আর কিছু না ভেবে আমাকে ছেড়ে দিলো। বাসায় যাবো এসময় কবিতার সাথে দেখা ।:-
_কি রাফসান তোমাকে এতো ফোন করছি তো ফোন ধরোনা কেন ?(কবিতা)
_না এমনিই ইদানীং অনেক ব্যাস্ত থাকছি (আমি) ।
_অন্য কোনো মেয়ের পিছনে লাগোনি তো?(কবিতা)
_আরে কিযে বলো তুমিই আমার একমাত্র ভালোবাসা।
তোমায় ছাড়া তো আমি থাকতেই পারিনা (আমি)
_আহারে আমার কিউট বাবু টাহ(কবিতা)
_এখন থাকো তাহলে আমি বাসায় যাবো ভালো লাগছেনা(আমি) ।।
আমি বাসায় এসে বিছানায় সুয়ে থেকে আংটিটা ভালোভাবে দেখতে লাগলাম।
এটা যে কবিতার আংটি আমি ১০০% সিওর ভাবে বলতে পারি।কিন্তু কবিতা কেন এসবের ভেতর থাকতে যাবে।নাকি ডাকাত দের উপর রাগ করে সেই কোনো কিলার কে দিয়ে করিয়েছে কে জানে ।কিন্তু ডাক্তার তো বললো এটা কোনো আত্মার কাজ তাহলে কিভাবে কি ?? আমি ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি ঠিক নাই। কোনো এক আওয়াজে ঘুম ভাঙলো।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটি যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম বাইরে বেরোতেই দেখি আবার পুলিশ এসেছে আমাকে এরেস্ট করবার জন্য।
_কি ব্যাপার আপনারা এখানে?(আমি)
_আমরা জানি আপনি এই খুনটি করেছেন। আপনি বলে দেন কিভাবে এই খুন করেছেন তাহলে বেঁচে যাবেন নাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে ।(পুলিশ)
_আরে স্যার আমি এসব কিচ্ছু জানিনা এসব কিভাবে হয়েছে ।(আমি)
তখন আরেকজন পুলিশ বলে উঠলো
_স্যার ওকে আমরা কিভাবে শাস্তি দিব?
আমি এক তান্ত্রিক কে চিনি ঐ এর থেকে ভূত বেড় করে দেবে তারপর এই ব্যাটাকে শাস্তি দিব।
_ঠিক বলেছো। নিয়ে চল ব্যাটাকে ঐ তান্ত্রিকের কাছে। (কমিশনার)
যথার্থভাবেই আমাকে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে আসা হলো। তান্ত্রিক অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
_আমি এই ছেলের সাথে একা কথা বলতে চাই(তান্ত্রিক)
_ঠিক আছে বলুন আমরা বাইরে যাচ্ছি (পুলিশ)
_শোন তুই খুব বড় একটা বিপদে পড়তে যাচ্ছিস। তোর ব্যাপারে আমি সব জানি তোর কাছে একটা Blue ston নামে বই আছে ঐটা আমাকে কাল এসে দিয়ে যাবি তাহলে আমি তোকে মুক্ত করতে পারবো! তুই এখন বাড়ি চলে যা।
(তান্ত্রিক)
তারপর পুলিশদের ডেকে বললো _ আপনারা এই ছেলের পিছু ছেড়ে দেন নাহলে খুব খারাপ অবস্থা হবে । তান্ত্রিকের কথা শুনে সবার চোখ কপালে উঠে গেলো ।
....
পর্ব-০৬ ....
#blue_ston
-পুলিশেরা আমাকে ছেড়ে দিলো আমি বাড়ি চলে আসলাম। তান্ত্রিকের কথায় একটু ঘাবড়ে গেলাম কিন্তু ভয় পাচ্ছিনা।আমি রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম।ঘুমতবস্থায় কে জানি আমার শরিরে আবর্তন করছে অনুভব করলাম।চোখ খুলতেই কাউকে দেখতে পেলামনা।সকালে ঘুম থেকে উঠেই সেই বইটা নিয়ে সেই তান্ত্রিকের ডাকা জায়গায় আসলাম।২০ মিনিট হয়েগেলো তান্ত্রিক আসছেনা।হঠাত্ ঘাড়ে কার হাতের স্পর্শ পেলাম পেছন ফিরতেই দেখি কবিতা।তাকে দেখে কেন জানি ঘাবড়ে গেলাম।
_কি ব্যাপার এতো সকালে এখানে কি করছ(কবিতা) ?
_ইয়ে মানে একটু হাঁটতে এসেছিলাম(আমি)
_ও আচ্ছা।আজ রাতে তোমাকে একটা জিনিস দেখাবো আসতে পারবা(কবিতা)?
_কি জিনিস আর কেন যাবো(আমি)?
_না এমনি আজ আমার জন্মদিন তাই একসাথে সেলিব্রেট করব।প্লিজ আসো(কবিতা)
_ঠিক আছে আসব সমস্যা নেই(আমি)।
কবিতা কেন জানি একটা চুমু দিয়ে চলে গেলো
। এদিকে তান্ত্রিকটা এখনো আসছেনা দেখে বাড়ি চলে আসলাম।রাতে কবিতার বাড়ি যাবো ভাবতেই মনটা কেমন আনন্দিত লাগছে। দেখতে দেখতে রাত হয়েগেলো ।রাত ৮টার দিকে তার বাড়ি রওনা দিলাম।কবিতার বাড়িতে যেয়ে দেখি কেউ নেই বাড়িতে শুধু কবিতা আর আমি ।
_আরে কবিতা তোমার বাবা মা কোথায় ।আর বাকি সবাই কোথায়(আমি)।
_সবাই থাকলে তোমাকে ওই জিনিসটা কিভাবে দেখাবো(কবিতা)?
_ও আচ্ছা বুঝেছি দেখাও তাহলে(আমি)
বলতে না বলতেই আমার শার্ট টা খুলে আমাকে বিছানায় ফেলে দিলো!! হঠাত্ তার বাড়ির রান্নাঘর থেকে কিসের জানি আওয়াজ এলো তাই দেখতে চলে গেলো।আমার ফোনের দিকে তাকাতে দেখলাম ইমতিয়াজ দিয়েছে । রিসিভ করতেই
_কিরে দোস্ত কোথায় আছিস? চায়ের দোকানে আয় আড্ডা দিব(ইমতিয়াজ)
_পরে আড্ডা দিব। এখন কবিতার বাসায় আছি(আমি)
_এতো রাতে ঐখানে কি করছিস(ইমতিয়াজ)?
_তুই যেটা ভাবছিস ওটায়(আমি)। [[NB:রাফসান ভালো ছেলে আসলে তার আসার উদ্দেশ্য আসলে এটা ছিলনা]]
_ওমাই গড । ওর বাড়িটা কোথায়?(ইমতিয়াজ)
_আমাদের এলকায় যেটা ৭০ নম্বর রোড আছে তার ১০২ নম্বর বাড়িটা(আমি)
_কি বলছিস দোস্ত তুই তাড়াতাড়ি বাইর হ বাড়ি থেকে(ইমতিয়াজ)
_কেন বলবি তো(আমি)
_তুই জানিসনা ৫ মাস আগে ঐ বাড়িতে তানিয়া নামে একটা মেয়ে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। তান্ত্রিক বলেছিলো ঐ বাড়িতে তানিয়ার আত্মা ঘুরে বেড়াবে । কিন্তু বাইরে যেতে পারবেনা । তুই তাড়াতাড়ি বের হ বাড়ি থেকে (ইমতিয়াজ)।
ওর কথা শুনে আমার পায়ের হাঁটু কাঁপতে লাগলো।আমি চারপাশে খেয়াল করলাম বাড়িটা কেমন ভয়ংকর রুপ হতে লেগেছে।আমার ভয়ে শরীর থেকে ঘাম বেড়োচ্ছে।বুঝতেও পারছিনা কি করব।
......
running......
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন