হঠাৎ হেঁচকি হলে কি করবেন। হেঁচকি বন্ধ করার উপায়। hiccup

 হেঁচকি

হেঁচকি (hiccup/hiccough) হলো মধ্যচ্ছদা বা ডায়াফ্রামের অনৈচ্ছিক সংকোচনের ফলে সৃষ্ট ঝাঁকুনি যা প্রতি মিনিটে কয়েকবার হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এটি সিনক্রোনাস ডায়াফ্রাগমাটিক ফ্লাটার  বা সিংগুল্টাস নামে পরিচিত।



   আরও পড়ুন

     মাথা ব্যথা headache


    পেট ব্যাথা। পেট ব্যাথা কেন হয় এবং করনীয়। pet betha


আমরা সবাই কমবেশি  হেঁচকি বা হিক্কার সাথে পরিচিত। জীবনে কখনো হেঁচকি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের বুকের খাঁচাকে পেট থেকে আলাদা করেছে একটি মাংসপিণ্ড। যার নাম ডায়াফ্রাম বা বক্ষচ্ছদা।

 

 শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই ডায়াফ্রামের। এই ডায়াফ্রামের আকস্মিক সংকোচনের কারণেই হেঁচকি বা হিক্কা শুরু হয়।


  প্রতিবার সংকোচনের ফলে ভোকাল কর্ড সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় বলে, হিক শব্দ তৈরি হয়।

 বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হলে, ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডায়াফ্রামের স্নায়ুতে ব্যাঘাত হলেই এই আকস্মিক সংকোচন দেখা দিতে পারে। স্ট্রোক, মস্তিষ্কে টিউমার ও আঘাত বা প্রদাহ হলেও হেঁচকি হয়।

 ডায়াবেটিস ও কিডনির অসুখ, রক্তে লবণের তারতম্য ঘটলে, অ্যানেসথেশিয়ার পর এবং নানা রকম ঘুমের ওষুধ বা স্টেরয়েড ওষুধ সেবনেও এটি হতে পারে। এটা একটা কষ্টকর ও বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। বেশির ভাগ সময় হেঁচকি উঠে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হেঁচকি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির জন্য এটা একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। কিন্তু কেনই–বা হয় এই হেঁচকি, আর এটি থামানোর উপায়ই–বা কী।


হেচকি কেন ওঠে ?

হেচকি উঠার কিছু কারন নিচে উল্লেখ করা হলো : 


১. দ্রুত খাবার খেলে।


২. অত্যাধিক মানসিক চাপ, উদ্বিগ্নতা এবং মাত্রাতিরিক্ত আনন্দের অনুভূতির প্রাবল্যের কারণে।


৩. অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার খেলে শরীরের আভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা করে ওঠানামা করে, যার দরুন হেঁচকি দেখা দেয়।


৫. অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার খেলে।


৬. অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দি


হেচকি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো - 


-বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেচকি এমনিতেই সেরে যায়। তবে না কমলে , ঠান্ডা জলে গরগর করুন অথবা কয়েক কুল্লি ঠান্ডা জল খেয়ে নিন , অনেকতা আরাম পাবেন ।

 -ঘাবরে গেলে অথবা ভয় পেয়ে গেলে কারো কারো হেচকি উঠতে দেখা যায় এ ক্ষেত্রে চুংগাম চিবালেই হচকি কমে যবে । 

-মনোযোগ সরে যাওয়াতে হেচকি উঠা বন্ধ হয় ।

 ঘরোয়া এমন অনেক উপায় রয়েছে । 

বেশি সময় ধরে হেচকি উঠতে থাকলে জিভে এক চামচ ভিনেগার দিন এতে ভুনেগার এর টক সাদ হেচকি অনেক তা কমিয়ে দিবে । 

গরম জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে হেচকি অনেক অংশে কমে আসবে । একটানা অনেক্ষন হেচকি আস ৫ টি এলাচ পানিতে ফুটিয়ে পান করুন ।

 আদা কুচি করে কেটে খেলে ও হেচকি কমবে । ইত্যাদি


মন্তব্যসমূহ