চীনের মহাপ্রাচীর Great Wall of China

 চীনের মহাপ্রাচীর

Great Wall of China


চীনের মহাপ্রাচীর Great Wall of China


চীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। দির্ঘ এ প্রাচিরটির কথা জানে বা নাম শুনেনি আজ কাল এমন মানুষ পাওয়া ভিষন মুশকিল ।

 গ্রেট ওয়্যাল অফ চায়্না Great Wall of China বা চীনের প্রাচীর হল এক সুবিশাল মনুষ্য-সৃষ্ট প্রাচীর, যেটি ইঁট, পাথর, কাঠ ও অন্যান্য পদার্থ দিয়ে নির্মিত । এই প্রাচীরের উচ্চতা প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ২১,১৯৬ কিলোমিটার। এটি শুরু হয়েছে সাংহাই পাস এবং শেষ হয়েছে লোপনুর নামক স্থানে।


আরও জানুন

   ফিঙ্গারপ্রিন্ট কী? what is Fingerprint?


    হ্যাকিং কী এবং কীভাবে করে



    কিভাবে ফেসবুক এ অটো ফলোয়ার নিবেন। একদম ফ্রী তে ২০২২ How to get auto follower at facebook



 নির্মাণ

এর মূল অংশের নির্মাণ শুরু হয়েছিল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সালের দিকে। নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন চাইনিজরা কিং সাম্রাজ্যের সময়। চীনের প্রথম সম্রাট কিং সি হুয়াং (Qin Shi Huang) এটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এবং শত্রুর হাত থেকে নিজের সম্রাজ্যকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ করে নির্মাণ করেছিলেন। এটি চীনের প্রকৃতিক বাঁধাগুলো ছাড়া অন্যান্য অঞ্চল পাহারা দেওয়ার কাজে এবং উত্তর চীনের উপজাতি সুইং নু (the Hsiung Nu (the Huns)) বিরুদ্ধে এটি প্রথম স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এই প্রাচীর, অস্ত্রাগার, সৈন্যনিবাস, আস্তাবল, প্রাচীরের ওপর আশ্রয়স্থল, দূরবীক্ষণ স্তম্ভ, ঘোড়ার গমনপথ, দূর্গ এবং গিরিপথের সমন্বয়ে গঠিত। সৈন্যবাহিনীর মধ্যে সঠিক যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সাংকেতিক টাওয়ার বা স্তম্ভ, প্রাচীর বরাবর উঁচু স্থানে বা পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি কেউ অলক্ষ্যে গুপ্তভাবে ভেতরে  ঢোকার চেষ্টা করে সেইজন্য তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার জন্য কাঠের দরজাগুলিকে গুপ্ত ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার করা হত। এই বিশাল প্রাচীরটি বরাবর অনেক দূরবীক্ষণ স্তম্ভ বা পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে, যেগুলি এক-আধ কিলোমিটার বা কয়েক কিলোমিটার অন্তর অন্তর অবস্থিত। দূরবীক্ষণ স্তম্ভ বা পর্যবেক্ষণ টাওয়ারগুলি দুই তলা লম্বা। এই প্রাচীর বরাবর 10,000-টিরও বেশি দূরবীক্ষণ স্তম্ভ বা পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এবং সাংকেতিক (আলোক সঙ্কেত দেওয়ার নিমিত্ত) টাওয়ার রয়েছে। 

~প্রাচীরটির বর্তমান অবস্থা নিম্নলিখিত কারণে গুরুতর বিবেচনার দাবী রাখে:

♦ প্রাচীরের উপর চিত্রিত দেওয়াল অঙ্কনগুলি, প্রাচীরের সৌন্দর্য্য নষ্ট করছে।

♦ কিছু গ্রামবাসী তাদের বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রাচীর থেকে পাথর বের করে নিয়ে ব্যবহার করছে।

♦ ধূলিঝড় থেকে ক্ষয়কার্যে গানসু-র নিকট প্রাচীরের অন্তর্ধান হয়েছে।


"দ্য গ্রেট ওয়্যাল অফ চায়না শুধুমাত্র চীনের অন্তর্গতই নয়, বরঞ্চ সারা বিশ্বের কাছেই এটি এক মহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।"


ALSO READ


        পেট ব্যাথা। পেট ব্যাথা কেন হয় এবং করনীয়। pet betha


        হঠাৎ হেঁচকি হলে কি করবেন। হেঁচকি বন্ধ করার উপায়


           ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম এর সেরা অ্যাপ। WhiteTube    watch and earn অনলাইন ইনকাম









মন্তব্যসমূহ